আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধি সম্মেলনে এ কথা বলেন জি এম কাদের। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সংগঠনটির সারা দেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচন করার বিষয়টি উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, অতীতে আমরা জোট করে একসঙ্গে নির্বাচন করেছি। আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে ভালো কাজ করলে অতীতের মতো আগামীতেও একসঙ্গে নির্বাচন করার কথা ভাববো। তবে আস্থা হারিয়ে ফেললে তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে যাবো না।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কারচুপির মেশিন। ইভিএমের বিরুদ্ধে বলে আসছি আমরা। এটির মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। এটি থাকলে সরকার যাকে চাইবে তাকে পাস করিয়ে দিতে পারবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি জানিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে, অবস্থা বুঝে, পরিবেশ বুঝে ব্যবস্থা নেবো আমরা। তবে আগামীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষ চাইলে, নেতাকর্মীরা চাইলে তেমন সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলতে চাই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪২ শতাংশ ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে এখন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আগামীতে দেশের মানুষ আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই। ঋণনির্ভর হওয়ায় ট্যাক্স বাড়ানোর দিকে যাচ্ছে। মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বেশি দাম ও বেশি সময় যাচ্ছে। ঋণ পরিশোধের সময় চলে এসেছে। এখন আয় দিয়ে ব্যয় মেটানো সম্ভব না, ঋণ পরিশোধ দিতে গিয়ে দেশ দেউলিয়া হতে যেতে পারে। দুই-এক বছরের মধ্যে তেমন কোনও উন্নতি হবে না।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।