বিজয় বাংলা ডেস্কঃ
২৬ রমজান দিবাগত রাতই হলো রমজানের ২৭তম রজনী বা শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। মূলতঃ রমজান মাসের শেষ দশকের মধ্যে বেজোড় রাতে শবে কদর তালাশ করতে বলা হয়েছে। যেমন- ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাতগুলোর যে কোনটি শবে কদর হতে পারে।
এমনকি কোথাও কোথাও সারা বছর জুড়ে এই রাতকে তালাশ করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন কোন মুফাসসিরে কেরাম বলেন, যে জিনিস যত দামি তা তত লুকায়িত থাকে। অহরহ পাওয়া যায় না। খুঁজে বের করতে হয়। যেহেতু শবে কদরের একটি রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম তাই এটা অনেক দামি রাত। এটা কষ্ট করে খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজতে খুঁজতে কারো ভাগ্যে জুটে গেলে এক রাতেই তার ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদত করার সাওয়াব মিলবে।
কিন্তু আমাদের দেশে রমজানের বেজোড় রাত তথা ২১, ২৩, ২৫ ও ২৯তম রজনীতে শবে কদর উপলক্ষে ইবাদতের জন্য মসজিদে লোকজনকে ভীড় করতে দেখা যায় না।
শুধু রমজানের ২৭তম রজনীতে তারা শবে কদরের ফজিলত লাভের জন্য মসজিদে ভীড় করে থাকেন। এর পিছনে কারণ হলো- সূরা কদরে ‘লাইলাতুল কদর’ কথাটি তিনবার এসেছে। এটি একবার লিখতে ৯টি হরফ লাগে। তাহলে তিনবার লিখতে এখানে ২৭টি হরফ ব্যবহার করা হয়েছে। সে হিসেবে কোন কোন মুফাসসির যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন যে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা ‘লাইলাতুল কদর’ তিনবার ব্যবহার করেছেন এবং এতে ২৭টি হরফ ব্যবহৃত হয়েছে সে হিসেবে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর রমজানের ২৭ তারিখে হতে পারে।
এই তাফসিরটি অনেকের মনমত হয়েছে বিধায় রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রজনী অর্থাৎ ২৭তম রজনী আসলে আমাদের দেশের আবাল বৃদ্ধ বণিতা অর্থাৎ সর্ব শ্রেণির মুসল্লীরা মসজিদে ভীড় জমিয়ে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে এটিই যে শবে কদর তা কিন্তু নিশ্চিত না। প্রকৃতপক্ষে শবে কদর পেতে হলে সারা বছর বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে ইবাদতে মনোযোগী হতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ইবাদতের তাওফীক দান করুক।
বিজয় বাংলা/এইচ কে/১৮-০৪-২০২৩ইং