তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে মানুষ যাবতীয় প্রয়োজন পূরণে ইন্টারনেটকেই বেছে নিচ্ছে। খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জানা-শুনা বা পাওয়ার জন্য ইন্টারনেটই এখন মানুষের ভালোলাগা ও ভালোবাসার জায়গা। আর তা যদি হয় ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, তাহলে তো কথাই নেই। ই-লার্নিং প্লাটফর্মের সুবিধা হলো, ঘরে বসে একটি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন দ্বারা খুব সহজেই ক্লাস করা যায়। তাছাড়া সাধারণত একাডেমিক লেখাপড়া করে স্বাভাবিকভাবে অন্য কিছু শিখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। কিন্তু ই-লার্নিংয়ে (ইলেক্ট্রনিক শিক্ষা) নিজের সুবিধাজনক সময়ে বা কাজের ফাঁকে বিভিন্ন কিছু শিখা যায়। বিভিন্ন প্লাটফর্মের সাজানো-গোছানো কোর্স করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করা যায়।
ঠিক তেমনি অপার সম্ভাবনাময় একটি ই-লার্নিং প্লাটফর্ম হলো, Happy Skills Institute। যার লক্ষ্য— ‘জেনারেল ব্যাকগ্রাউণ্ডে লেখাপড়া করা বা অধ্যয়নরত ব্যক্তিদের বাড়তি দক্ষতা অর্জন ও যে কোনো প্রকার চাকরিতে সবারচে’ একধাপ এগিয়ে রাখতে কাজ করা, সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত জীবন গঠনে মেধাগত সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করা, আল্লাহ ও তাঁর কালাম থেকে দূরে সরে যাওয়া ব্যক্তিদের উভয়জাহানে মাথা তুলে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান’। যেন প্রত্যয় ও বিশ্বাসের এক আকাশস্পর্শী পর্বত-চূড়ায় উঠে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছে— ‘হে স্বপ্নবাজ তরুণ ও যুবক, ডাকে সাড়া দিতে অপেক্ষমান বয়স্ক ও গৃহিণী! আমরা এসেছি তোমাদের তৃষিত যমীনে বৃষ্টি কণা নিয়ে’।
সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতিতে শিক্ষাদানে বদ্ধপরিকর এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার সপ্তাহ তিনেক না পেরোতেই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একধাপ এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ে চারটি কোর্স রানিং করতে সক্ষম হয়েছে এবং আগামী অক্টোবর মাসে কোর্সের সংখ্যা ৮-১০টিতে পৌঁছানোর পরিকল্পনায় এগুচ্ছে। এই প্লাটফর্মটি জেনারেল পড়ুয়াদের কুরআন শিখিয়ে দুনিয়ার পাশাপাশি আখেরাতেও সফল হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই একটি আন্তরিকতাপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে সবার হৃদয় ছুঁতে সক্ষম হয়েছে— (১) সুবিধাবঞ্চিত, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ ব্যক্তি এই প্লাটফর্মের যে কোনো কোর্স বিনামূল্যে করতে পারবে। (২) অংশগ্রহণকৃত কোর্সের শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেট খরচ প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, দেশের সকল আশ্রালয়ে একযোগে কুরআন শিক্ষা ও বিভিন্ন কোর্স বিনামূল্যে পরিচালনা করা। সে লক্ষ্যে ক্লাস করার জন্য আশ্রালয়ের তত্ত্বাবধায়কের কাছে স্মার্টফোন কিনে দেওয়া হবে। একটি নির্ধারিত সময়ে একযোগে সবাই ক্লাসে উপস্থিত হবে। প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হবে।
প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যাবলীর মধ্যে রয়েছে :
(১) দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষক।
(২) কোর্সের ফাঁকে ফাঁকে শিষ্টাচার শিক্ষা প্রদান।
(৩) স্বল্পমূল্যে কোর্স করার সুবিধা।
(৪) অতি সহজে বিষয়বস্তুর উপস্থাপন।
(৫) শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও মতামতের মূল্যায়ন।
(৬) শিক্ষার্থীদের সাথে হৃদ্যতা ও সৌহার্দপূর্ণ আচরণ।
(৭) মাসিক পরীক্ষা।
(৮) পরিশ্রমী ও ভালো নম্নর প্রাপ্তদের পুরস্কৃতকরণ।
(৯) লাইফ-টাইম সাপোর্ট।
(১০) প্রতিটি ক্লাসের শীট প্রদান।
(১১) সার্টিফিকেট প্রদান।
এসবের কারিগর, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক, বিজয় বাংলা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক, স্বপ্নবাজ তরুণ আলেমে দ্বীন, লেখক ‘মাওলানা নাঈম আহমদ’। যিনি সততা, আন্তরিকতা ও বিশ্বাসকে পুঁজি হিসেবে ধারণ করে প্লাটফর্মকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার সুপরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠানটি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
বিজয় বাংলা/এনএ/২৮/৯/২২