আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গারাও একত্রিত হচ্ছে?

বিজয়বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত ২২, সেপ্টেম্বর, ২০২২, বৃহস্পতিবার
<strong>আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গারাও একত্রিত হচ্ছে?</strong>

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মিয়ানমারে বিভিন্ন রাজ্যে ৭ সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একযুগে গেরিলা হামলা বিস্তৃত হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে সেনাবাহিনী। সেনা ও পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহী গ্রুপে অংশগ্রহণ সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জনগণের পুর্ণ সমর্থনের পাশাপাশি জাতিসংঘ, আসিয়ান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রটোকল পাচ্ছেন- আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী লিডাররা। বিদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের অনেকে পক্ষত্যাগ করে মিয়ানমার বিদ্রোহীদের গঠিত NUG জাতীয় ঐক্য সরকারের (প্রবাসী সরকার) প্রতিনিধি হিসেবে কুটনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন।

ওয়াশিংটনে পক্ষত্যাগী রাষ্ট্রদূতকে মিয়ানমারের NUG সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রটোকল দেয়ার জন্য জান্তাবিরুধীরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো জান্তা সরকার Save Exit এর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হবে।

মিয়ানমারে জান্তাবিরুধীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারলে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন ও নাগরিকত্বের শর্তে পশ্চিমা দেশগুলো স্বীকৃতির আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছেন।

বিশেষ সূত্রে মতে, জান্তাবিরুধী লড়াই আরো বেগবান করতে উচ্চ শিক্ষিত প্রবাসী রুহিঙ্গানেতা নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের একটি অংশ বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর আরাকান আর্মির (A.A) সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা করে ফেলেছেন। এবং জাতিয়তাবাদী রুহিঙ্গা: যারা যুগপথভাবে যুদ্ধে শামিল হয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম আরাকানের প্রত্যয়ব্যক্ত করেছেন, আমি তাদের এহেন সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

বিশেষ সূত্রে জানতে পেরছি, উখিয়ার শরণার্থীক্যাম্প ও সৌদিআরবে বসবাসকারী কিছু রোহিঙ্গানেতা- জাতিগত বৌদ্ধদের জান্তাবিরুধী ও সাড়াজাগানো ‘A.A এর সাথে যুগপথভাবে লড়াই করা’কে মেনে নিতে পারছেন না।

মনে রাখবেন, মিয়ানমারে বর্তমান যে ‘লেবেল প্লেয়ি; এমন সুবর্ণ সুযোগ হয়তো আর নাও আসতে পারে।
তাই আর বিবেধ নয়, সময়কে কাজে লাগাবেন।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তী নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানীর রাজনৈতিক ইতিহাস স্টাডি করুন। উঁনারা গংগ্রেস কিংবা মহাত্মা গান্ধীকে নেতৃত্বে রেখে ভারতীয় স্বাধীনতায় গৌরবোজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

হায়দারাবাদ থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য ব্যারিস্টার আসাদুদ্দীন ওয়াইসি, ভারতীয় সংসদে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছিলেন- ‘ভারতে সভ্যতার আলো দেখিয়েছে মুসলমানরাই। ভারতকে আমরাই স্বাধীন করেছি’।

যদি রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ভারতের মাহাত্মা গান্ধী ও বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন দেশপ্রেমিক নেতা পেতো; আরাকান বহু আগেই স্বাধীন হয়ে যেতো।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস! রোহিঙ্গাদের চৌকসনেতা ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম ও তার রোহিঙ্গা প্রতিরোধযোদ্ধাদের দূরদর্শী ও সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে তারা জাতি হিসেবে ফের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। মুক্তি পাবে রাষ্ট্রহীনতার জিল্লতি থেকে। ফেরত পেতে পারে ছেড়ে আসা নিজেদের ভিটে-বাড়ী ও সম্মানজনক নাগরিকত্ব।

বিজয় বাংলা/এনএ/২২/৯/২২

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন