বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সদ্য প্রকাশিত ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ এর প্রতিবেদন; কিছু ব্যাথা ও কিছু কথা।
১. গত ১০ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে সঠিক সময়ে বিয়ে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিকল্প নেই।
২. নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেড়েছে। তাই সুন্দর ও বিশৃঙ্খলামুক্ত সমাজ গঠনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বে একাধিক বিয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। তবে এর পূর্বশর্ত— নৈতিক শিক্ষা। নয়তো পরিবারে ফাসাদ-বিশৃঙ্খলার আগুন দাউদাউ করে জ্বলবে। তখন কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বয়ে আনবে বেশি।
৩. আশংকাজনক হারে বাড়ছে— ৫ বছর বয়সী শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার! ছাড়িয়েছে ৩০ শতাংশ। এব্যাপারে কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যত ধ্বংসের দিকে ঠেলে না দিতে অভিভাবকদের কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে; স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে।
৪. তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের জন্য সরকার কর্তৃক কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। যেন হাট-বাজারে তাদের হাত পাততে না হয়।
৫. তালাকে শীর্ষে রাজশাহী। দৈনিক অসংখ্য পরিবারে বিচ্ছেদের করুণ সুর বাজছে। সেজন্য তালাক রোধে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, মসজিদে মসজিদে ইমাম কর্তৃক পুরুষদের এবং পাড়া-মহল্লায় একদল জ্ঞানীগুণী নারী কর্তৃক গ্রাম্য নারীদের তা’লীমের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে (মহিলা মাদ্রাসাগুলো এ উদ্যোগ নিতে পারে)।
৬. অবিবাহিতদের সংখ্যা সবচে’ বেশি সিলেটে। বর্তমান মিডিয়ার যুগে কম বয়সেই ছেলে-মেয়েরা বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়াদি বুঝে যায়। সেজন্য বিয়ের বয়সসীমা আরো কমানো জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বিয়ের উদ্যোগ না নিয়ে আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কালো থাবাড় শিকার হচ্ছি।
লেখক : নাঈম আহমদ
সহকারী সম্পাদক, বিজয় বাংলা
বিজয় বাংলা/এনএ/২৭/৭/২২