জ্ঞান, চরিত্র ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে গড়ে উঠতে হবে -ইসলামী ছাত্র মজলিস

বিজয়বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত ১০, মার্চ, ২০২৩, শুক্রবার
<strong>জ্ঞান, চরিত্র ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে গড়ে উঠতে হবে -ইসলামী ছাত্র মজলিস</strong>

বিজয় বাংলা অনলাইন | আজ ১০মার্চ ২০২৩(শুক্রবার), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের নির্ধারিত সহযোগী সদস্য ভাইদের নিয়ে ২দিন ব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, জ্ঞান, চরিত্র ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে সহযোগী সদস্যদের গড়ে উঠতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আজ খুব নড়বড়ে। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের দ্বারা দেশ আজ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানির মূল্য পরিশোধ করার মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ ডলার আজ নেই। জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উপকরণ আজ আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন অধিদপ্তর। চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশ ও জাতির আগামী জীবন হুমকির মুখোমুখি। সৃষ্ট এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ছাত্র মজলিসের সহযোগী সদস্যদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নতুন বছরে শুরু হওয়া সিলেবাস থেকে ‘ইসলাম শিক্ষা’ তুলে দেওয়াটা দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। এটা ‘কারা করছে, কার স্বার্থে করছে এবং কেন করছে’ সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ ধর্ম শিক্ষা এদেশের মাটি ও মানুষের শিকড়ের সাথে জড়িত। এ শিক্ষাটি জাতির জাতীয় শিক্ষা হিসেবে পরিচিত। সুতরাং সিলেবাস থেকে ‘ইসলাম শিক্ষা’ তুলে দেয়ার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবা দরকার, ইসলামী শিক্ষা ও সংষ্কৃতির প্রভাব পৃথিবীতে মোটেই কম নয়; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকগুণ বেশি। সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ, আর উত্তরের নরওয়ে থেকে দক্ষিণের চিলি-এ বিশাল পৃথিবীর দিকে একটু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলে বুঝা যাবে, যুগ যুগ ধরে মানুষ একটু শান্তি, একটু স্বস্তি আর নির্মল জীবন যাপনের জন্য ইসলাম ধর্মকেই বেছে নিয়েছে। সত্য উদঘটনের জন্য নিরপেক্ষভাবে তারা ইসলামী শিক্ষাকে গবেষণা করে চলেছে। নিবিড়ভাবে তারা ইসলামী সংষ্কৃতির সম্মোহনী শক্তির অনুসন্ধান করে চলেছে। আর বর্তমান বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগেও এই শিক্ষার অনুসন্ধান ক্রমে বেড়েই চলেছে। যুগসন্ধিক্ষণের প্রতিটি স্তরেই কোনো না কোনো জগত বিখ্যাত ব্যক্তি এ শিক্ষার কাছে আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। ইসলামী শিক্ষার ছায়াতলে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়ে ধন্য হয়েছেন। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের প্রাণের শিক্ষা হলো সেই ‘ইসলামী শিক্ষা’। সুতরাং ইসলামী শিক্ষার প্রতি অন্ধবিদ্বেষ পোষণ করা কারো জন্যই কাম্য নয়।

সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কে এম ইমরান হুসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হুসাইন, অফিস ও প্রচার সম্পাদক হাসান আহমাদ খান, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল খন্দকার, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আহসান আহমাদ খান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন
  • 25
    Shares