মোঃ হুমায়ুন কবীর, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ১২ জুন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুজ্জামান সরকার বকুল মাস্টার’র গণসংযোগে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাতেও চলে উপজেলা হাট বাজার সহ তৃণমূল পর্যায়ে।এতে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ দলমতের উর্ধ্বে উঠে ভোটের অধিকার রক্ষা করতে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।
তারাকান্দা উপজেলাবাসীর কাছে একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি, সমাজসেবক,সৎ যোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া জেগেছে ব্যাপক ভাবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চায়ের দোকান, পাড়া,মহল্লায়,হাট বাজার,ক্লাব কমিউনিটি সর্বত্র সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে সরগরম আলোচনা।
উপজেলা বাসিন্দাদের কাছে আদর্শ,সততার প্রতিক সৎ রাজনৈতিক নেতা,সু-বিচারক প্রার্থী হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে নূরুজ্জামান বকুল মাস্টারে’র কারণ তিনি ঘাটের পয়সা খরচ করে সামাজিক,পারিবারিক, রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন তা উপজেলার আপামরজনসাধারণ জানে।
তারাকান্দা উপজেলার ভোটাররা বলেন,উপজেলার উন্নয়নের স্বার্থে তারা নূরুজ্জামান বকুল মাস্টার কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। কারণ ইতিমধ্যে কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকায় বহু মাদ্রাসা,স্কুল,দাখিল মাদ্রাসা,এতিমখানা, গোরস্থান,শ্বশান,রাস্তা তারা পারিবারিক ও গোষ্ঠী গতভাবে জনস্বার্থে করে দিয়েছেন তাই প্রার্থী নির্বাচনে তারা ভুল করবে না।এবার সবাই প্রতীক দেখে নয়, ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন। তারা বলেন,নূরুজ্জামান বকুল মাস্টার কে ভোট দিয়ে জয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব নিয়ে পাহারা বসাবেন যাতে বিগত দিনের মতো ভোট কারচুপি করতে না পারে,তাকে গণ মানুষের ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলেও আশ্বাস দেন। তবে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,এলাকার সাংসদ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,প্রশাসনের সকলের কাছে দাবি করেন, যেন একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় এই উপজেলায়।অন্যথায় জনরোষের কারণে তার প্রভাব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে।তা গোয়েন্দা সংস্থার দ্ধারা যাচাই-বাছাই করলে প্রমানিত হবে বলে বিজ্ঞজনেরা মতামত দেন।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুজ্জামান সরকার বকুল মাস্টার বিনয়ের সাথে বলেন,ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জনগণ অত্যান্ত শান্তিপ্রিয় যা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি,এই উপজেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বস বাস ছিল এবং আছে। এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ,গরিব অসহায়দের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা, দুর্নীতি অনিয়ম দূরীকরণ, ছাত্র ও যুব সমাজকে মাদক অন্যায় থেকে দূরে রাখা,সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি,চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন,সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা,তথা আপামরসাধারণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।
আমি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের সেবায় কাজ করে যাবো।এখনো নিজস্ব অর্থায়নে গরীব মানুষের সন্তানদের বিনাপয়সায় পড়াশোনা করিয়ে নিচ্ছি আজ অনেকেই চাকরি করে পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,”এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আমি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায় তাদের সেবা করার জন্য,তা দেখে আমি বিমূঢ়। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে যেন সকলের পাশে দাঁড়াতে পারি সেজন্য আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।তাদের ভালোবাসা আজীবন মনে থাকবে,তাদের আশা, এলাকার রাস্তাঘাট সহ সামাজিক,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে আমার প্রথম কাজ,তাছাড়া সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে আমার মূলকাজ এতে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজ করবে।আমি যেহেতু সার্বক্ষণিক উপজেলা সদরে থাকি, ঢাকা বা ময়মনসিংহে বাসাবাড়ি নেই, তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যখন খুশি আমাকে সবাই পাবে।আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার কর্মী সমর্থক ভাইবোনদের,আমার শরীরের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি করে দিলেও মনে হয় এ ঋণ পরিশোধ করতে পারবো না কোনদিন,কারণ বিনাস্বার্থে না খেয়ে না ঘুমিয়ে তারা জনবান্ধব প্রতিনিধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন”।
এলাকায় ব্যাপক গণ সংযোগের মাধ্যমে জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে একমাত্র জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির দৌড়ে সবার আগে বকুল মাস্টার নাম এখন সকলের মুখে মুখে।স্বচ্ছ নির্বাচন না হলে এলাকায় জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে সবাই আশংকা করছেন যার প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে বলে মনে হয়।
বিজয় বাংলা/এইচ কে/০৭/০৫/২০২৩ইং