একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে কিছুক্ষণ

বিজয়বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত ১৮, আগস্ট, ২০২১, বুধবার
<strong>একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে কিছুক্ষণ</strong>

আব্দুল কাদির চৌধুরীঃ জ্ঞানের ভাণ্ডার লাইব্রেরি। সিডনি স্মিথ বলেছেন, জীবনে শুধু তিনটি জিনিসের প্রয়োজন সেটি হল বই, বই এবং বই। আসলে জ্ঞানে সমৃদ্ধ হলে জাতি বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে। যে পরিবার বা সমাজে বইয়ের কদর থাকবে তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধি আসবেই।

বাহুবল উপজেলার ছয় কিলোমিটার অদুরে মিরপুর বাজারে ১৯৭৬ সালে গড়ে ওঠে মিরপুর পাবলিক লাইব্রেরি। দীর্ঘ পথ চলায় বইসমৃদ্ধ এই লাইব্রেরিতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাঠকের কমতি নেই। ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ, শিশুতোষ বইয়ের সম্ভার, ডিজিটাল কন্টেন্ট। রয়েছে শিশুদের ব্যবহারের জন্য ট্যাব। শিক্ষানুরাগী প্রাক্তন শিক্ষক যিনি প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন জনাব আব্দুল গণি বলেন, “ছেলেবেলায় যারা পাঠক ছিল এখনও তারা পাঠক। এমনকি তাদের সন্তানরাও এখন আমাদের লাইব্রেরির পাঠক। বাবার হাত ধরে বই পড়তে আসে। আমাদের পাঠক কমেনি বরং এত সংখ্যক পাঠক বেড়েছে যে, এখন আরও একটি নতুন ভবন তৈরি করার কথা ভাবছি। আমরা পারব ইনশাল্লাহ। আমাদের সাথে রীড বাংলাদেশ কাজ করছে। সরকারি ও পাবলিক অনুদান যথাযথভাবে স্বচ্ছতার সাথে গ্রহণ ও ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লাইব্রেরিতে যত দুর্লভ বইয়ের পুরনো সম্ভার তা বাহুবলের অন্য কোন লাইব্রেরিতে নেই।” আজ পাবলিক লাইব্রেরি ও রীড বাংলাদেশের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এসে এমন একটি লাইব্রেরি দেখে অবিভূত হয়েছি। অনেক পুরনো গ্রন্থ দ্বারা সজ্জিত ও সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি। মূলত: মিরপুরবাসী শিক্ষা সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাওয়ার রহস্যের মাঝে এই পাবলিক লাইব্রেরির অবদান অনেক। পাঠক প্রিয়, শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়া মিরপুরবাসী তুলনামূলক অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সদর বাহুবল অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মিরপুর কেন্দ্রিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুণগত মান ধরে রেখে সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলেও শ্রেষ্টত্বের দাবি রাখে। যেখানে সদর কেন্দ্রিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারে কাছেও নেই।
বাহুবলে রয়েছে পাঠক বিহীন, নিস্ক্রিয় একটি পাবলিক লাইব্রেরি। নিজস্ব স্থান নেই, অবকাঠামো নেই। এ নিয়ে কারও যেন আগ্রহ নেই। সুধীমহল নির্জীব। তার উপর বেদখল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পিছিয়ে দিয়েছে বাহুবল সদরবাসীকে।
তাইতো উন্নত সমাজ ও মানুষ তৈরি করতে উন্নত সংস্কৃতি পরিচর্যা ছাড়া কখনও সম্ভব নয়। চলবে…

মো: আব্দুল কাদির চৌধুরী
প্রধান শিক্ষক, দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন