বিশ্বনাথ প্রতিনিধি | বিশ্বনাথের টেংরার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ আলী দীর্ঘ ২৪ বৎসর পর গত ৩১ জুলাই রবিবার বাংলাদেশে নিজ বাড়ী টেংরায় আগমণ করেছেন।
তার সাথে দীর্ঘ দিন পরে সাক্ষাতে যান সাংবাদিক মোঃ শাহিন উদ্দিন ও শিক্ষাবিদ তৌফিক চৌধুরী গতকাল ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বাড়ীতে।
হানিফ আলী জানান, তিনি ১৯৯৮ সালে যুক্তরাজ্যে বিবাহের সুবাদে পাড়িজমান।
সেখানে তিনি অসম চুড়াই উৎরাই পোহাতে হয়। যার জন্য তার দীর্ঘ ২৪ বৎসর পর স্বদেশের মাটিতে পা রাখতে হচ্ছে।
তিনি তার পিতা মাতাকে হায়াতে পাওয়ায়, মহান আল্লাতালার অশেষ শুকরিয়া আদায় করেন এবং তিনিও যে, যুক্তরাজ্যে
করোনাকালীন সময়ে লাইফ সাপোর্ট
থেকে হায়াতে আবারও এই বিশ্বময়ের মুখ দেখছেন সেজন্য মহান আল্লাহতালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যারা মেধাবী শিক্ষিত রয়েছেন
তারা যুক্তরাজ্যে না গিয়ে বাংলাদেশে চাকুরী করে মেধার সাক্ষরতা প্রকাশের আহবান জানান।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কেন ২৪ বৎসর পরে এলেন? এর কোনো জবাব নেই তার! পরে সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে
তাকে বলা হলো বৃটিশের লাল পাসপোর্টের বিশাল মূল্য। এটা সোনার হরিণের চেয়ে আরোও অধিক মূল্যবান।
লাল পাসপোর্ট অর্জিত হলে পরে তার ছেলে মেয়েদের ভবিয্যত জীবন উজ্জল এবং জীবন ধন্য হয়। ছেলে মেয়ে নিয়ে পিতা মাতা কোনো চিন্তা ও ভাবনা করতে হয়না। বিশাল নাগরিক সুবিধা।
তাকে বলা হলো সেজন্য আপনি এই লাল পাসপোর্টের জন্যই দীর্ঘ ২৪ বৎসর পর বাংলাদেশে এসেছেন। পৃথিবীতে লাল পাসপোর্টের কোনো বিকল্প নেই মানবজীবন উন্নত করতে। লালপাসপোর্ট
এক অমূল্যধন। যারা লাল পাসপোর্ট অর্জন করেছেন তাদেরকে সালাম কালাম, আন্তরিক ধন্যবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী হানিফ আলী তিনি টেংরা সোরাব আলী মোতাওয়াল্লীর বড় ছেলে।
মোতাওয়াল্লী সোরাব আলী তিনি দক্ষিণ সুরমা লালবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের একাধারে দীর্ঘ ২৭ বৎসর মোতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি বার্ধ্যকের কারণে ও নানান
অসুখ বিসুখ নিয়ে নিজ বাড়ীতে শয্যাগত রয়েছেন। হানিফ আলীও তিনি ত্রিশ বৎসরের মত লালাবাজারে ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি তার এলাকার পরিচিত সকলের কাছে টেংরা বার্তার মাধ্যমে সালাম জানিয়েছেন এবং সকলের দোয়া চেয়েছেন।
এলাকায় যাদেরকে রেখে গিয়েছিলেন স্বদেশের মাটিতে আজ তারা অনেকেই নেই এই ভূমন্ডলে! যার জন্য তিনি আফসোস করেন এবং এলাকার সকল মোর্দ্দেগানের জন্য দোয়া করেন।
পরিশেষে, তিনি তার ছেলে বেলার অতীত কাহীনি নিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন।